অবশেষে রিয়াল মাদ্রিদের অপেক্ষাটা ফুরোল। জাবি আলোনসো লস ব্লাঙ্কোসদের কোচ হওয়ার আগে থেকেই তারা বেনফিকার লেফটব্যাক আলভারো কারেরাসকে দলে নেওয়ার প্রক্রিয়ায় নেমেছিল। রক্ষণে নিজেদের দুর্বলতা কাটাতে কারেরাসের সঙ্গে ৬ বছরের চুক্তি সেরেছে রিয়াল। একইদিন (সোমবার) বার্সেলোনা অনেকটা নীরবেই সুইডিশ উইঙ্গার রুনি বার্দগিকে চার বছরের জন্য দলে নিয়েছে।
এক বিবৃতিতে কুয়েতে জন্ম নেওয়া বার্দগির সঙ্গে ২০২৯ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চুক্তি সম্পন্ন করার কথা জানিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ১৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকার এতদিন ডেনমার্কের এফসি কোপেনহেগেন ক্লাবের হয়ে খেলেছেন। সেখানেই গতি, ফুটবল দক্ষতা ও স্কোরিংয়ের সামর্থ্য দিয়ে নজর কাড়েন বার্সেলোনার। এমনকি তাকে ইউরোপের সবচেয়ে সম্ভাবনাময় তরুণ ফুটবলারদের একজনও ভাবা হচ্ছে।
এদিকে, ২২ বছর বয়সী স্প্যানিশ লেফটব্যাক কারেরাস একসময় (তিন বছর) রিয়ালের বয়সভিত্তিক দলে ছিলেন। সেখান থেকে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বয়সভিত্তিক দল ও গ্রানাদা ঘুরে দুই মৌসুম ধরে খেলেছেন পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকায়। তাকে ছয় বছরের জন্য দলে নিলেও ট্রান্সফার ফি নিয়ে কিছু জানায়নি রিয়াল। এ নিয়ে জাবি আলোনসো দায়িত্ব নেওয়ার পর কেবল ডিফেন্সেই নতুন করে তিনজনকে দলে যুক্ত করলেন। এর আগে সেন্টারব্যাক পজিশনে ডিন হুইজসেন ও লিভারপুলের তারকা রাইটব্যাক ট্রেন্ট আলেক্সান্ডার-আরনল্ডকে নেয় স্প্যানিশ জায়ান্টরা।
এমবাপেকে এক বছর আগে করা মন্তব্যের বাস্তবায়ন দেখালেন এনরিকে!
বিশ্বের সবচেয়ে দামি গোলরক্ষককে কিনল আর্সেনাল
সাম্প্রতিক সময়ে ইনজুরিতে পড়া ফারলাঁ মেন্দির ফিটনেস আর ফ্রান গার্সিয়ার গড়পড়তা পারফরম্যান্সে আস্থা রাখতে পারছেন না আলোনসো। তাই তো কারেরাসের দিকে অতিমাত্রায় ঝুঁকেছিল রিয়াল। এর আগে এই লেফটব্যাক মাদ্রিদের ইয়ংস্টার রাউল অ্যাসেন্সিও’র সঙ্গে রিয়াল একাডেমিতে খেলেছেন। এরপর ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে চার বছর কাটিয়ে যোগ দেন বেনফিকায়। সেখানে পর্তুগাল প্রিমেইরা লিগে ৩২ ও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে খেলেছেন ১০ ম্যাচ। এ ছাড়া স্পেনের অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে ২০২৪-২৫ মৌসুমে নজরকাড়া পারফরম্যান্স ছিল কারেরাসের।
— Real Madrid C.F. (@realmadrid) July 14, 2025
বার্সেলোনাও তাদের নতুন সাইনিং বার্দগির ট্রান্সফার ফির বিষয়ে বিস্তারিত জানায়নি। তবে তাকে প্রাথমিকভাবে ২.৩৫ মিলিয়ন ডলার দেওয়ার কথা জানিয়েছে সংবাদমাধ্যম ইএসপিএন। ২০২০ সালের গ্রীষ্মে কোপেনহেগেন ক্লাবে যোগ দেওয়ার দুই বছরের মধ্যে ক্লাবটির শীর্ষ দলে জায়গা করে নেন এই কুয়েত বংশোদ্ভূত উইঙ্গার। মাঝে এক বছর চোটের কারণে বাইরে থাকলেও বার্দগির ফর্মে ফিরতে সময় লাগেনি। ডেনিশ ক্লাবটির হয়ে তিনি ৮৪টি ম্যাচে ১৫টি গোল ও একটি অ্যাসিস্ট করেছেন। জিতেছেন ডেনিশ লিগ ও দুটি ডেনিশ কাপ।