
দক্ষিণ এশিয়ায় জ্বালানি তেল আমদানির অন্যতম সহজ পথ হচ্ছে হরমুজ প্রণালী। সম্প্রতি ইসরাইল ও ইরানের মধ্যকার সংঘাতে এই জলপথের নিরাপত্তার বিষয়টি আবারও সামনে এসেছে। বিশেষ করে, ইরানে যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ এবং কৌশলগত এই সমুদ্রপথটি নিয়ে উদ্বেগ দেখা দিচ্ছে।
হরমুজ প্রণালী কী?
এই প্রণালীকে বলা হয় ‘জ্বালানির দরজা’, এই দরজা দিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের প্রধান তেল উৎপাদনকারী দেশগুলো তেল রপ্তানি করে থাকে। এই পথ না থাকলে মধ্যপ্রাচ্যের তেল অতি সহজে পশ্চিমা বিশ্বে সরবরাহ করা যেত না।
হরমুজ শব্দটি ফার্সি শব্দ ‘ওরমুজ’ থেকে এসেছে। যার অর্থ খেজুরের বিচি। অন্য একটি প্রচলিত মত হলো হরমুজ নামটি ফার্সি পৌরাণিক দেবতা ‘হরমুজদ’ বা ‘অহুরা মজদা’ (Ahura Mazda) এর নাম থেকে এসেছে বলে ধারণা করা হয়। তিনি ছিলেন প্রাচীন পারস্য ধর্ম জরথুস্ট্রবাদের (Zoroastrianism) প্রধান দেবতা, যিনি সত্য, আলো ও জ্ঞানের প্রতীক।
হরমুজ প্রণালী কোথায় অবস্থিত?
হরমুজ প্রণালী উত্তরে ইরান এবং দক্ষিণে ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই)-এর মধ্যে অবস্থিত। এর একপাশে রয়েছে ইরানের দক্ষিণ পশ্চিম উপকূল বন্দর আব্বাস এবং অন্যপাশে ওমান, আরব আমিরাত ও সৌদি আরব। এটি পারস্য উপসাগরকে (Persian Gulf) ওমান উপসাগরের (Gulf of Oman) সাথে সংযুক্ত করেছে।
হরমুজ প্রণালী শুধুমাত্র একটি সামুদ্রিক পথ নয় বরং এটি এখন বৈশ্বিক রাজনীতি, অর্থনীতি ও শক্তির কেন্দ্রবিন্দু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ওপর নির্ভর করছে বিশ্বের কোটি কোটি মানুষের জীবনযাত্রা।
অন্যদিকে এই প্রণালীর দ্বারা ইরান আরব উপদ্বীপ থেকে পৃথক হয়েছে। এই প্রণালীকে বিশ্ব বাণিজ্যের গলা হিসেবে তুলনা করা হয়। কারণ সমগ্র বিশ্বের ৩ ভাগের ১ ভাগ খনিজ তেল পরিবহণ করা হয় শুধুমাত্র এই প্রণালী দিয়ে।
হরমুজ প্রণালী হলো পৃথিবীর সবচেয়ে সংকীর্ণ (choke point or chokepoint) প্রণালীগুলোর একটি। যা মাত্র ২১ মাইল (৩৪ কিলোমিটার) প্রশস্ত। অন্যদিকে দৈর্ঘ্য প্রায় ২৪ মাইল (৩৯ কিলোমিটার)। প্রণালীর মাঝ বরাবর রয়েছে দুইটি জাহাজ চলাচলের রাস্তা যার প্রস্থ মাত্র ৩ কিলোমিটার। যার জেরে এই প্রণালী কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রিত এবং খুবই ঝুঁকিপূর্ণ অঞ্চল।
হরমুজ প্রণালী এখন কোন দেশের দখলে?
হরমুজ প্রণালী কোনো একটি দেশের একক দখলে নেই। তবে এটি মূলত আন্তর্জাতিক জলসীমা হিসেবে বিবেচিত হয়। আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী, হরমুজ প্রণালী দিয়ে বাণিজ্যিক জাহাজ চলাচল অব্যাহত রাখতে হয় এবং এটি সামুদ্রিক মুক্ত পথ (Freedom of Navigation) হিসেবে গণ্য হয়।
তবুও, এর দুই পাশ ঘেঁষে থাকা দেশগুলো—বিশেষ করে ইরান এবং ওমানের প্রভাব লক্ষণীয়। এই প্রণালীর উত্তর দিকে একটি বড় অংশ ঘিরে রেখেছে ইরানের নৌবাহিনী যেখানে তাদের সীমানা রয়েছে। অন্যদিকে এই প্রণালীর দক্ষিণ দিকে রয়েছে ওমানের মুসান্দাম প্রদেশ। যেখান ওমানও সরাসরি নিয়ন্ত্রণ রাখে। তাইতো এই প্রণালীর ওপর ইরান ও ওমানের কৌশলগত এবং রাজনৈতিক প্রভাব রয়েছে।
হরমুজ প্রণালী কেন এত গুরুত্বপূর্ণ?
বিশ্বের প্রায় পাঁচভাগের একভাগ জ্বালানি এই পথ দিয়ে আমদানি-রপ্তানি হয়। অন্যভাবে বললে, প্রতিদিন গড়ে ১ কোটি ৭০ লাখ ব্যারেলেরও বেশি জ্বালানি এই প্রণালী দিয়ে বাণিজ্য হয়। এটি সৌদি আরব, ইরাক, ইরান, কুয়েত, কাতার এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো প্রধান জ্বালানি উৎপাদক দেশগুলির জন্য বিশ্ববাজারে পৌঁছানোর অন্যতম জনপ্রিয় জাহাজ পথ।
মার্কিন জ্বালানি তথ্য প্রশাসন (EIA বা এনার্জি ইনফরমেশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন) অনুসারে, বিশ্বের তেল সরবরাহের প্রায় ২০ শতাংশ (প্রতিদিন প্রায় ২০.৯ মিলিয়ন ব্যারেল) এই সংকীর্ণ জলপথ দিয়ে যায়। এই প্রণালী দিয়ে শুধু তেল, গ্যাস নয় বরং অন্যান্য বাণিজ্যিক জাহাজও যাতায়াত করে। প্রায় ৬০ হাজার কোটি ডলার মূল্যের জ্বালানি বাণিজ্য এই রুট দিয়ে প্রতি বছর হয়ে থাকে।
হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি বন্দর:
হরমুজ প্রণালীর কাছাকাছি অবস্থিত গুরুত্বপূর্ণ বন্দরগুলোর মধ্যে রয়েছে, ইরানের বন্দর আব্বাস যা একটি প্রধান নৌ ও বাণিজ্যিক বন্দর। রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ফুজাইরাহ বন্দর যা একটি গুরুত্বপূর্ণ তেল সংরক্ষণ এবং জাহাজীকরণ কেন্দ্র। ওমানের সোহার বন্দর যা বাণিজ্য এবং জাহাজীকরণের জন্য ব্যবহৃত হয়।
অন্যদিকে কাতারের রাস লাফান যা তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) রপ্তানির জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ বন্দর। মোটকথা এই প্রণালীটি তার কাছাকাছি বন্দরগুলো এবং উপসাগরীয় দেশ থেকে তেল ও গ্যাস রপ্তানির একমাত্র সমুদ্র পথ।
হরমুজ প্রণালীর বিকল্প কী?
হরমুজ প্রণালীর বিকল্প খুঁজে পাওয়া খুব সহজ নয়, কারণ এটি একটি ভৌগোলিকভাবে অনন্য এবং সংকীর্ণ কিন্তু অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জাহাজ চলাচলের পথ। তবে কিছু বিকল্প ব্যবস্থা ও রুট বিভিন্ন দেশ গ্রহণ করেছে বা চিন্তা করছে। সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত ইতিমধ্যেই বিকল্প কিছু রুট তৈরি করেছে। যদিও তা নিয়ে নানা প্রশ্ন রয়েছে।
সৌদি আরব ‘ইস্ট-ওয়েস্ট ক্রুড অয়েল পাইপলাইন’ চালায়, যার ক্ষমতা দৈনিক ৫০ লাখ ব্যারেল। সংযুক্ত আরব আমিরাত ‘আবু ধাবি ক্রুড অয়েল পাইপলাইন (ADCOP)’ নামক একটি পাইপলাইন স্থাপন করেছে, যা তাদের স্থলভাগের তেল ক্ষেত্রকে ওমান উপসাগরের ফুজাইরাহ বন্দরের সঙ্গে যুক্ত করে। এই পথ কোনো কারণে বিঘ্ন ঘটলে দৈনিক প্রায় ২৬ লাখ ব্যারেল তেল বিকল্প পথে পরিবহন করতে পারবে আমিরাত।
সত্যিই যদি হরমুজ প্রণালী বন্ধ হয়, তাহলে তেলবাহী জাহাজগুলো আফ্রিকা ঘুরে নিয়ে যেতে হবে (Cape of Good Hope)। যা খরচ ও সময় দুটোই বেড়ে যাবে। এটি বাস্তবিক বিকল্প হলেও অর্থনৈতিকভাবে অকার্যকর ও ঝুঁকিপূর্ণ বটে।
ইরান কি এই প্রণালী বন্ধ করতে পারে?
হরমুজ প্রণালী একটি আন্তর্জাতিক জলপথ। এই নৌপথে চলাচল থামানো আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাত্ত্বিকভাবে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে সক্ষম, তবে এটি চরম ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হবে তাদের। যার পরিণতি হতে পারে আঞ্চলিক যুদ্ধ, বৈশ্বিক অর্থনৈতিক সংকট ও আন্তর্জাতিক সামরিক জবাব।
এটা ঠিক হরমুজ প্রণালীর উত্তর উপকূল ইরানের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে এবং তাদের নৌবাহিনী ও বিপ্লবী গার্ড (IRGC) নিয়মিত টহল দেয় এখানে। ইরানের কাছে রয়েছে সাবমেরিন, ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন ও মাইন বসানোর সক্ষমতা, যা দিয়ে তারা সাময়িকভাবে প্রণালীকে বিপজ্জনক করতে পারে অনায়াসে।
বিগত ২০১১, ২০১২, ২০১৭ সালে ইরান এই প্রণালী বন্ধের হুমকি দিয়েছিল, কিন্তু বাস্তবে তা ঘটায়নি। ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে পারে, কিন্তু তা বাস্তবায়ন করলে সবচেয়ে বড় ক্ষতি ইরানের নিজেরই হবে। এটি পুরো বিশ্বের জ্বালানি নিরাপত্তা ও অর্থনীতিকে বিপর্যস্ত করবে এবং আঞ্চলিক যুদ্ধের সম্ভাবনা তৈরি করবে। এটি করলে ইরান নিজেই আত্মঘাতী সিদ্ধান্তে পড়বে।
প্রণালী বন্ধ হলে কোন দেশগুলো সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে?
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে মধ্যপ্রাচ্যের তেল রপ্তানিকারক দেশগুলো যথা (সৌদি আরব, ইরান, ইরাক, কুয়েত, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার) এবং এশিয়া-নির্ভরশীল আমদানিকারক দেশগুলো যথা (বিশেষত চীন, ভারত, জাপান, দক্ষিণ কোরিয়া, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশ)
‘ভোরটেক্স’-এর গবেষণা বলছে, সৌদি আরব হরমুজ প্রণালী দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৬০ লাখ ব্যারেল অপরিশোধিত তেল রপ্তানি করে। যা তার অন্য যেকোনো প্রতিবেশী দেশের তুলনায় বেশি। অন্যদিকে এই প্রণালী দিয়ে নিয়ে যাওয়া তেলের অন্যতম বৃহৎ গ্রাহক হলো চীন। ইরানের তেলের প্রধান ভোক্তা হিসেবে বেইজিং কোনোভাবেই তেলের দাম বৃদ্ধি বা জাহাজ চলাচলের পথে কোনোরকম বাধাকে মানবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
হরমুজ প্রণালী একটি আন্তর্জাতিক জলপথ। এই নৌপথে চলাচল থামানো আন্তর্জাতিক আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। তাত্ত্বিকভাবে ইরান হরমুজ প্রণালী বন্ধ করতে সক্ষম, তবে এটি চরম ও ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ হবে তাদের।
এই গুরুত্বপূর্ণ ‘এনার্জি করিডোর’ বন্ধ হওয়া আটকাতে চীন তার সুনিশ্চিত পূর্ণ কূটনৈতিক শক্তি ব্যবহার করবে। এটা সত্য, ইরান যদি হরমুজ প্রণালীটি বন্ধ করে তাহলে চীন সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে। ভারতের ৮৫ শতাংশেরও বেশি অপরিশোধিত তেল আমদানি করা হয় এই প্রণালী দিয়ে। ফলে এই সমুদ্রপথ বন্ধ হলে ভারতের জন্য খুবই খারাপ হবে। তেল বাদ দিয়েও, ভারত এই পথেই বিশেষ করে কাতার থেকে তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) ও আমদানি করে।
মোট কথা, হরমুজ প্রণালী দিয়ে যাওয়া প্রায় ৮২ শতাংশ অপরিশোধিত তেল এবং ঘনীভূত তেলই (কম ঘনত্বের তরল হাইড্রোকার্বন যা সাধারণত প্রাকৃতিক গ্যাসের সাথে তৈরি হয়) পাঠানো হয় এশিয়ার দেশগুলোয়। হরমুজ প্রণালী বন্ধ করলে সম্ভবত ইরানের শত্রুদের চেয়ে তার মিত্রদেরই বেশি ক্ষতি হবে।
হরমুজ প্রণালীর বর্তমান পরিস্থিতি কী?
বর্তমানে হরমুজ প্রণালী খোলা ও পরিস্থিতি স্বাভাবিক পর্যায়ে রয়েছে। যদিও ইরান এখানে মাইন স্থাপনের প্রস্তুতি নিয়েছিল ইসরায়েল আক্রমণের কারণে। তবে এখনো তারা এই প্রণালী বন্ধ বা নিষ্ক্রিয় করেনি। বলে রাখা ভালো, মার্কিন পঞ্চম নৌবহর কিন্তু এখানে বাণিজ্যিক জাহাজ রক্ষার দায়িত্বে রয়েছে। তারা একটি নিরাপদ ইন্দো প্যাসিফিক নৌপথ পরিচালনার জন্য দীর্ঘদিন চেষ্টা করে যাচ্ছে।
২১ জুন রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন বিমান হামলার পর বিশ্বব্যাপী বেঞ্চমার্ক ব্রেন্ট ক্রুডের দাম সাময়িকভাবে প্রতি ব্যারেল ৮০ ডলারের ওপরে উঠে যায়। রিফিনিটিভের তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারির পর প্রথমবারের মতো এটি ঘটেছে। যা সংঘাতের আগে, ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে দাম মূলত ৬০ থেকে ৭৫ ডলারের মধ্যে ছিল।
এটা ঠিক হরমুজ প্রণালী বন্ধ করা হলে আরও গুরুতর প্রভাব হিসেবে ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যে সংঘাত আরও তীব্র হয়ে উঠতে পারে। এই সংঘাত দ্রুত শেষ হওয়ার কোনো ইঙ্গিত নেই এখন। ফলে তেলের বাজারে অনিশ্চয়তা বিরাজ করছে। প্রণালীতে কোনো ধরনের বিঘ্ন বা অবরোধ তেলের দাম বাড়িয়ে দিতে পারে। এটি বিশেষত এশিয়ার আমদানিকারকদের জন্য মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে বাংলাদেশের ক্ষতি কী?
হরমুজ প্রণালী বিশ্ব জ্বালানি পরিবহনের প্রধান পথ। এটি বন্ধ হলে বাংলাদেশে তেল ও গ্যাস আমদানি ব্যাহত হবে। ফলে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ঘাটতি, লোডশেডিং ও শিল্পখাতে বিপর্যয় দেখা দিতে পারে। জ্বালানি ব্যয় বেড়ে গেলে নিত্যপণ্যের দাম বাড়বে এবং মূল্যস্ফীতি বাড়বে। এই সংকট মোকাবিলায় বিকল্প জ্বালানি উৎস ও সরবরাহ রুট খুঁজে বের করা এখনই জরুরি।
পরিশেষে বলা যায়, ইরানের যেকোনো পদক্ষেপ সৌদি আরব ও আরব আমিরাতের মতো উপসাগরীয় আরব দেশগুলোর সঙ্গে তাদের সম্পর্ককে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারে। তাছাড়া, ইরান নিজেও এই প্রণালী ব্যবহার করে তেল রপ্তানি করে। ফলে এটি বন্ধ করা আত্মঘাতী পদক্ষেপ হবে তাদের।
হরমুজ প্রণালী বন্ধ হলে যুক্তরাষ্ট্রসহ যেসব দেশ উপসাগরীয় দেশগুলো থেকে তেল আমদানির ওপর নির্ভরশীল, তারা বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শুধু পরিবহন খরচ বাড়াবে না, বরং অনেক দেশের অর্থনীতিতে মুদ্রাস্ফীতি ও মন্দার কারণ হতে পারে। ভেঙে পড়তে পারে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহ ব্যবস্থা।
প্রশান্ত কুমার শীল : শিক্ষক ও আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক