
প্রতিদিন জাতীয় দৈনিকে অসংখ্য খবর প্রকাশিত হয়। এখানে আলোচিত কিছু খবরের সংকলন করা হলো।
ক্ষমতার ভারসাম্য প্রশ্নে আলোচনা এগোচ্ছে না
প্রধানমন্ত্রীর একচ্ছত্র ক্ষমতা কমানো, সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে নিয়োগ পদ্ধতিতে পরিবর্তন, সংসদ দ্বিকক্ষবিশিষ্ট করা এবং উচ্চকক্ষে সংখ্যানুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতিতে নির্বাচনের মতো প্রস্তাবগুলো নিয়ে ইতিমধ্যে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছে।
সতেরোশ কোটি টাকায় নির্মিত রেলপথ থেকে মাসে আয় ১৫ লাখ টাকা
বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে নির্মাণ করা হয় ঈশ্বরদী-পাবনা-ঢালারচর রেলপথ। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোসহ ৭৯ কিলোমিটার দীর্ঘ রেলপথটি নির্মাণে খরচ হয় ১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা। ২০১৮ সালে রেলপথটির নির্মাণকাজ শেষ হয়। এ পথে ট্রেন চলাচল শুরু হয় ২০২০ সালে। তখন থেকে এক জোড়া ট্রেন চলছে এ রেলপথে। বাংলাদেশ রেলওয়ের তথ্য বলছে, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ঈশ্বরদী-ঢালারচর রেলপথের ১১টি স্টেশন থেকে আয় হয়েছে ১ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। এ হিসাবে প্রতি মাসে গড়ে আয় হচ্ছে মাত্র ১৫ লাখ টাকা।
কালের কণ্ঠ
বিএসএফের গুলি থেকে রেহাই পাচ্ছে না নারী-পুরুষ কেউ
পৃথিবীর কোনো সীমান্তে নির্বিচারে মানুষ হত্যার উদাহরণ না থাকলেও বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে বিরামহীন হত্যা চলছেই। ১৯৭২ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত এক হাজার ৯৫৬ জন বাংলাদেশি প্রাণ হারিয়েছে সীমান্তে।
মানবাধিকারকর্মীরা বলছেন, ভারত সীমান্ত হত্যা শূন্যের কোঠায় আনার কথা মুখে বললেও বাস্তবে সে পথে হাঁটছে না। এ অবস্থায় আন্তর্জাতিক আদালতে যাওয়া দরকার বাংলাদেশের।
আজকের পত্রিকা
চাপের মুখে বিএনপি
দখল, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডসহ সব ধরনের অপকর্মের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ ঘোষণা, দ্রুত সাংগঠনিক ব্যবস্থা—কোনো কিছুতেই যেন কিছু হচ্ছে না। বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্বের হুঁশিয়ারি, সাংগঠনিক বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে দল ও অঙ্গসংগঠনের নেতা-কর্মীদের অপকর্ম অব্যাহত রয়েছে। এ নিয়ে দেশজুড়ে জনমনে ক্ষোভ ও হতাশার কারণে প্রচণ্ড চাপে পড়েছে বিএনপি। সর্বশেষ মিটফোর্ড এলাকায় বিএনপির সঙ্গে যুক্ত নেতা-কর্মীদের হাতে ভাঙারি ব্যবসায়ীর নৃশংস হত্যাকাণ্ড সমালোচনার আগুনে ঘি ঢেলে দিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন পরিসরে এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ প্রকাশ করতে দেখা যাচ্ছে।
কালের কণ্ঠ
মহাচ্যালেঞ্জে পোশাক খাত
দেশের রপ্তানিনির্ভর অর্থনীতির সবচেয়ে বড় খাত তৈরি পোশাক শিল্প আবারও মহাচ্যালেঞ্জের মুখে। যুক্তরাষ্ট্রের পুনরায় শুল্ক বৃদ্ধির পদক্ষেপে টলমল করছে বিদেশি ক্রেতার আস্থা। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ৩৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা এ মহাচ্যালেঞ্জে ফেলেছে দেশের তৈরি পোশাক খাতকে।
এদিকে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দ্বিতীয় দফার বাণিজ্য আলোচনার তৃতীয় ও শেষ দিন উভয় দেশ বেশ কয়েকটি বিষয়ে একমত হয়েছে।
বণিক বার্তা
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, দিনে ১১ খুন
‘মানুষ এতটা নিষ্ঠুর হয় কীভাবে?’ গত বুধবার দিনের আলোয় মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ভাঙারি পণ্যের ব্যবসায়ী লাল চাঁদ ওরফে সোহাগকে হত্যার ভিডিও দেখে সবার মুখেই এমন কথা। সোহাগকে অনেক মানুষের সামনে পিটিয়ে এবং ইট-পাথরের টুকরা দিয়ে আঘাত করে হত্যা করা হয়।
প্রথম আলো
এ সময়ে ডেঙ্গুর এত বিস্তার আগে হয়নি
দেশের ৬০ জেলায় ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু। এডিস মশাবাহিত এ রোগে মোট আক্রান্তের ৭৮ শতাংশই এখন ঢাকার বাইরের। এর আগে দেশে কখনো এ সময়ের মধ্যে ডেঙ্গু এত এলাকায় ছড়ায়নি। ঢাকার বাইরে এত মৃত্যুও হয়নি। ঢাকার বাইরে কোনো কোনো অঞ্চলে এবার অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে ডেঙ্গু, যা আগের রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে।
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ মুশতাক হোসেন বলেছেন, দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ শুরুর এমন সময়ে ঢাকার বাইরে এর এত বিস্তার আগে হয়নি। আসলে এটি যাতে বাইরে না ছড়ায়, তা নিয়ে কোনো চেষ্টাই ছিল না। এতে বিপদে পড়বে ঢাকার বাইরে থাকা বিপুলসংখ্যক মানুষ। কারণ, তারা এ রোগ মোকাবিলায় প্রস্তুত নয় এখনো।
প্রথম আলো
পরীক্ষা ছাড়া ৬৫ চিকিৎসক নিয়োগ শিশু হাসপাতালে
বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ অ্যাডহক–ভিত্তিতে ৬৫ জন চিকিৎসককে নিয়োগ দিয়েছে পরীক্ষা ছাড়াই। নিয়োগের জন্য সংবাদপত্রে কোনো বিজ্ঞপ্তি প্রচার করা হয়নি। সাম্প্রতিক এই নিয়োগ নিয়ে তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
অভিযোগ উঠেছে, নতুন নিয়োগ পাওয়া চিকিৎসকেরা বিএনপি–সমর্থিত চিকিৎসকদের সংগঠন ডক্টরস ফোরাম অব বাংলাদেশের (ড্যাব) সদস্য।
সমকাল
দলে শুদ্ধি অভিযান চালাবে বিএনপি, দুষছে পুলিশকেও
আজীবন বহিষ্কারসহ কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার পরও লাগাম টানা যাচ্ছে না বিএনপির একশ্রেণির নেতাকর্মীদের। এই নেতাকর্মীদের চাঁদাবাজি, দখল এমনকি খুনের মতো গুরুতর অভিযোগে বিব্রত দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। আগামী নির্বাচনে এসব ঘটনার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা নেতাদের। এ অবস্থায় দলের তৃণমূল থেকে বিভিন্ন পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
প্রথম আলো
বিএনপির ১৬ বছরের ‘ত্যাগ’ কি ধুলায় মিশছে
পুরান ঢাকায় নৃশংস হত্যাকাণ্ডে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা–কর্মীদের সম্পৃক্ততার ঘটনায় ব্যাপকভাবে চাপে পড়েছে দলটি। এ ঘটনায় জড়িত যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের পাঁচ নেতা–কর্মীকে সংগঠন থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হলেও বিএনপি তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে।
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানের পর বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন এলাকায় হামলা, খুন, দখল, অর্থ দাবি, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত, দলীয় পদপদবি নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনায় এমনিতেই বিব্রত দলটির নেতারা।
যুগান্তর
নিরাপদ সড়ক এখনো স্বপ্ন
রাজধানীর মিরপুর টেকনিক্যাল মোড়ে ২৭ জুন দুপুরে বেপরোয়া গতির একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজনে উঠে পড়ে। এ সময় আনিসুজ্জামান নামের এক পথচারীকে চাপা দিলে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন অপর এক পথচারী। এর আগে ২ এপ্রিল সকালে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার চুনতি ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসের সামনে বাসের সঙ্গে দুটি মাইক্রোবাসের সংঘর্ষে একই পরিবারের পাঁচজনসহ ১১ জন প্রাণ হারান।
কালবেলা
বেপরোয়া ৫৩ এজেন্সি
বিদেশে উচ্চ বেতন আর উন্নত জীবনের স্বপ্ন দেখিয়ে হাজার হাজার নারী কর্মীকে প্রলোভনের ফাঁদে ফেলে অর্থনৈতিক শোষণের পাশাপাশি মানসিক ও যৌন নির্যাতন করছে একটি অসাধু সিন্ডিকেট। সরকারি নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) কয়েকজন কর্মকর্তার যোগসাজশে দিনে দিনে আরও বেপরোয়া হয়ে উঠছে এই সিন্ডিকেট সদস্যরা। শ্রমিকদের প্রতারিত করে নিজেদের পকেটে ভরছে শত শত কোটি টাকা। অন্যদিকে, বিদেশে গিয়ে বিপাকে পড়ছেন হাজারো বাংলাদেশি নারী। যাদের কেউ বা ফিরে আসছেন নিঃস্ব হয়ে, কেউ হারাচ্ছেন সম্ভ্রম, আবার কেউ কেউ পাচ্ছেন না ন্যায্য মজুরি বা মানবিক আচরণ। বিদেশে কর্মী পাঠানোর আগে সংশ্লিষ্ট সব কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের কথা বিএমইটির। তবে খোদ বিএমইটিরই কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ওই অসাধু সিন্ডিকেটে সম্পৃক্ত থাকায় কঠোর নজরদারি কিংবা দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হচ্ছে না জড়িতদের। শুধু তাই নয়, এই সিন্ডিকেটভুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর জমা দেওয়া অনিয়মে ভরা ফাইল অনুমোদন হয়ে যায় দিনে দিনে, অথচ সব মানদণ্ড পূরণের পরও অন্যদেরটা পড়ে থাকে দিনের পর দিন। কালবেলার দীর্ঘ অনুসন্ধানে এই চক্রে অন্তত ৫৩টি রিক্রুটিং এজেন্সি জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে।