
পাবনার সুজানগরে মোবাইলে কথা বলাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও গোলাগুলিতে ১৫ জন আহতের ঘটনায় ১০ নেতাকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
বহিষ্কুতরা হলেন-সুজানগর উপজেলা বিএনপি’র সদস্য সচিব রউফ শেখ (৫২), ছাত্রদল নেতা শেখ কাউছার (২৮), যুবদল নেতা মনজেদ শেখ(৪৫), সুজানগর পৌর বিএনপি’র ১নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবর খা (৬০), সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য কামাল শেখ (৪৬), পৌর যুবদল সদস্য মানিক খা (৩৮), সুজানগর এনএ কলেজ শাখার সভাপতি শাকিল খা (২৫), সুজানগর পৌর ৬নং ওয়ার্ডের সিনিয়র সহ-সভাপতি রুহুল খা (৪০), বিএনপি কর্মী লেবু খা (৬০) যুবদল কর্মী হালিম শেখ (৪০)।
এছাড়া সুজানগরের রক্তাক্ত সংঘাতের ঘটনায় মোলায়েম খা ও সুরুজসহ আরও যারা জড়িত ছিল তারা বিএনপি কিংবা এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ নয়। তাদের সঙ্গে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কোনো সম্পর্ক নেই। এসব দুষ্কৃতকারী সন্ত্রাসীদের সঙ্গে বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেউ যোগাযোগ বা সম্পর্ক রাখলে দল তাদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
সুজানগর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান বলেন, এখনো মামলা হয়নি। কেউ কোনো অভিযোগ দেয়নি। গ্রেপ্তারও নেই। অভিযোগ দিলে ব্যবস্থায় যাবে পুলিশ।
এর আগে ফোনে কথা বলাকে কেন্দ্র করে গত মঙ্গলবার (৮ জুলাই) সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মজিবর খাঁয়ের অনুসারী আশিকের ফোন কেড়ে নিয়ে ভেঙে ফেলেন উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রউফ শেখের ভাতিজা ছাত্রদল নেতা কাউছার ও তার অনুসারীরা। এরপর এ ঘটনা মীমাংসা হলেও বুধবার দুপুরে আশিককে সিনেমা হলের সামনে আবার ডাকে কাউছার ও তার দল। এ সময় তাদের সঙ্গে দেখা করতে আশিক তার চাচাতো ভাই ছাত্রদল নেতা সবুজকে ডেকে নিয়ে যান। সেখানে কাইছার ও আশিকের মধ্যে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি শুরু হয়। সবুজ বাধা দিতে গেলে তাকেও মারধর ও ছুরিকাঘাত করা হয়। পরে আশিক ও সবুজ তাদের অভিভাবক ও বিএনপি নেতাদের জানায়। এরপর মজিবর খা, লেবু খা, মানিক, সুরুজসহ দলবদ্ধভাবে এসে কাউছারদের ওপর হামলা চালান। এ সময় আব্দুর রউফ ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে থামাতে গেলে তাকেও কুপিয়ে ও মারধর করে আহত করা হয়। এ সময় গোলাগুলির ঘটনাও ঘটে। আহত উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিবকে মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।